ইসলাম মানুষকে সর্বদা
জান্নাতের পথ দেখায়। ইসলামে রয়েছে এমন কিছু আমল যা মানুষকে খুব
সহজেই জান্নাতে পৌঁছে দেয়। যেমন-
১. মা-বাবার
সেবা করা : যারা মা-বাবার খেদমত করবে তারা জান্নাত লাভ করবে। আর যারা মা-বাবার অবাধ্য হবে ও অবহেলা করবে তারা যাবে জাহান্নামে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার মা-বাবা উভয়কে অথবা যে কোনো
একজনকে বার্ধক্য অবস্থায় পেল, তবুও
জান্নাত অর্জন করতে পারল না, সে
ধ্বংস হোক।’ মুসলিম।
২. যথাসময়ে নামাজ আদায় : সময়মতো ও নিয়মিত নামাজ আদায়কারীর প্রতি আল্লাহতায়ালা সন্তুষ্ট
হয়ে তাকে জান্নাত দান করবেন। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে
ব্যক্তি সময়মতো নামাজ আদায়ে যতœবান হবে, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে জান্নাতে প্রবেশ
করানোর ওয়াদা রয়েছে।’ আবু দাউদ।
৩. আয়াতুল কুরসি পাঠ : রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজান্তে আয়াতুল
কুরসি তিলাওয়াত করবে, তার
জান্নাতে প্রবেশের জন্য মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না।’ নাসায়ি।
৪. তাকওয়া অবলম্বন : তাকওয়া হচ্ছে জান্নাত লাভের উৎকৃষ্ট উপায়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার প্রভুর সামনে উপস্থিত হওয়াকে ভয় করে এবং নিজের
অন্তরকে কুপ্রবৃত্তি থেকে দূরে রাখে, জান্নাতই হবে তার জন্য চূড়ান্ত আবাসস্থল।’ সূরা নাজিয়াত, আয়াত ৪০-৪১।
৫. হালাল আহার গ্রহণ
: হালাল খাদ্য গ্রহণকারীরাই নাজাত পাবে এবং তাদের ঠিকানা হবে জান্নাত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে লোক হালাল খেয়েছে, সুন্নাহ মোতাবেক আমল করেছে এবং মানুষকে কষ্টদান
থেকে বিরত রয়েছে,
সে জান্নাতে যাবে।’ তিরমিজি।
৬. রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক
বস্তু অপসারণ : একবার রাস্তার ওপর একটি গাছের ডাল পড়ে ছিল, যা মানুষের চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টি করছিল, অতঃপর এক ব্যক্তি তা সরিয়ে দিল, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেন,
‘বিনিময়ে আল্লাহ তাকে
জান্নাত দান করেছেন।’ ইবনে মাজাহ।
৭. মুখ ও যৌনাঙ্গ হেফাজত : মুখ ও গোপনাঙ্গের হেফাজতের মধ্যে রয়েছে জান্নাতের নিশ্চয়তা। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি জিহ্বা ও যৌনাঙ্গের হেফাজতের দায়িত্ব
গ্রহণ করবে আমি তার জন্য জান্নাতের জিম্মাদার হব।’ বুখারি।
৮. এতিম প্রতিপালন : রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেন,
‘আমি ও এতিমের প্রতিপালনকারী
জান্নাতে একসঙ্গে এমনভাবে থাকব- এ কথা বলে তিনি মধ্যমা ও তর্জনী আঙ্গুলদ্বয়কে একত্রিত
ও পৃথক করে দেখিয়েছেন।’ বুখারি।
৯. আসমাউল হুসনা আয়ত্ত করা : রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহতায়ালার ৯৯টি নাম আছে, যে ব্যক্তি তা আয়ত্ত করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করবেন।’ বুখারি।
১০. অজুর পর কালেমা
শাহাদাত পাঠ : রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করার পর কালেমা
শাহাদাত পাঠ করবে,
ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের
আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হবে। সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা
জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। মুসলিম।
0 Comments