এবার রামপুরায় দুই তরুণী ধর্ষণের শিকার
রাজধানীর রামপুরায় কর্মজীবী দুই তরুণী ধর্ষণের
শিকার হয়েছেন এবার। তাদের মধ্যে একজনকে বৃহস্পতিবার ও অন্যজনকে গত ১ জানুয়ারিসহ
একাধিক দিন ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় তারা পৃথক মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত বাবুর্চি জি এম
আলম ভুঁইয়াকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী দু'জনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস
সেন্টারে (ওসিসি)।
এদিকে বৃহস্পতিবার ভাটারায় ১১ বছরের শিশুকে
গণধর্ষণের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় চার কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে শনিবার পর্যন্ত
কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। কামরাঙ্গীরচরে আরেক শিশুকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত
রতনকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে র্যাব। এ ঘটনায় আগে গ্রেপ্তার
পাঁচজনের মধ্যে তিনজন শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
রামপুরা থানার ওসি আবদুল কুদ্দুছ ফকির বলেন, শুক্রবার রাতে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই দুই তরুণীকে ধর্ষণে জড়িত
জি এম আলম ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলা দুটির তদন্ত
করছে পুলিশ।
রামপুরা থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের সূত্রে
জানা যায়, রামপুরার একটি মেসে থাকেন ওই দুই তরুণী। জি এম আলম মূল মালিকের
কাছ থেকে বাসা ভাড়া নিয়ে ওই মেসটি পরিচালনা করে আসছিল। পাশাপাশি সে বাবুর্চি
হিসেবে কাজ করে। মেসের বাসিন্দাদের খাবার সরবরাহ করত সে। ভুক্তভোগী তরুণীদের
একজন একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে এবং অন্যজন একটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে
কাজ করেন। প্রতিদিন খাবার খেতে তারা বাবুর্চির ঘরে যেতেন। এই সুযোগে আলম বৃহস্পতিবার
১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণ করে। তিনি মেসে ফিরে ১৮ বছরের অন্য তরুণীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে
গিয়ে জানতে পারেন, ওই তরুণীও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ ১ জানুয়ারি
তাকে ধর্ষণ করে আলম। এর আগেও একাধিকবার তাকে ধর্ষণ ও যৌননিপীড়ন করা হয়। এরপর শুক্রবার দুই
ভুক্তভোগী একত্রে রামপুরা থানায় যান।
0 Comments