বিগ ব্যাশে আজ হ্যাটট্রিক দেখা গেছে দিনের
দুটি ম্যাচেই। বিপিএলে আজ দেখা যেতে পারত তিন-তিনটি হ্যাটট্রিক। সেটি আবার এক ম্যাচেই। কিন্তু টানা দুই বলে
দুটি করে উইকেট নিয়ে তৃতীয় বলে গিয়ে আর পারেননি তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান ও শাদাব খান।
রংপুর রেঞ্জার্সের পেসার তাসকিন টানা দুই
বলে দুই উইকেট নেন ঢাকা প্লাটুনের ১৪তম ওভারে। শেষ ওভারে ২ উইকেট
নিয়েছেন রংপুরের আরেক পেসার মোস্তাফিজুর রহমানও। ঢাকার ইনিংসও তেমন
এগোতে পারেনি। থেমেছে ৯ উইকেটে ১৪৫ রান তুলে। তাড়া করতে নেমে রংপুর
হেরেছে ৬১ রানের ব্যবধানে—আর এ হারের শুরুর ভিতটা গড়েছেন অফ স্পিনার মেহেদী, প্রথম ওভারেই ২ উইকেট নিয়ে। শেষটা দ্রুত করেছেন
শাদাব, সেটিও হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে। মূলত বোলারদের পারফরম্যান্সে
তুলে নেওয়া জয়েই কোয়ালিফায়ারে খেলা নিশ্চিত করেছে ঢাকা।
মেহেদীর করা প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে ফিরেছেন
রংপুরের দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও অধিনায়ক শেন ওয়াটসন। ৪ রান তুলতেই ২ উইকেট
হারিয়ে দিশেহারা রংপুর আরও বিপদে পড়েছে পাওয়ার প্লে-র মধ্যে মোট ৪ উইকেট হারিয়ে। ক্যামেরন ডেলপোর্ট
ও ফজলে মাহমুদকে হারিয়ে ৬ ওভারের মধ্যে রংপুরের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩৪। এ অবস্থায় ১৫০ রানের
নিচের লক্ষ্যও ভীষণ কঠিন হয়ে যায় দলটির জন্য। অধিনায়ক মাশরাফি বিন
মুর্তজার নেতৃত্বে ঢাকার বাকি চার বোলার চাপ ধরে রাখায় শেষ পর্যন্ত ১০০ রানও তুলতে
পারেনি রংপুর। ১৫.৩ ওভারে ৮৪ রান তুলেই অলআউট হন ওয়াটসন-নবীরা।
রংপুর ৪২ বলে ৭৫ রানের দূরত্বে থাকতেও দলটির
জয়ের আশা ছিল। মোহাম্মদ নবী ও জহুরুল ইসলাম ছিলেন উইকেটে। তখন ১৪তম ওভারে বল
হাতে নিয়ে চতুর্থ বলে জহুরুল এবং পঞ্চম বলে আরাফাত সানিকে তুলে নেন পাকিস্তানি লেগ
স্পিনার শাদাব। ফাহিম আশরাফের করা পরের ওভারে প্রথম বলে ফিরে যান মোহাম্মদ নবীও
(১২)। মোট ৫ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে তখনই ছিটকে পড়ে
রংপুর।
কম রানের সংগ্রহ নিয়ে ঢাকার বোলাররা দুর্দান্ত
পারফর্ম করেছেন। ৪ ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট নেওয়া মেহেদী এ ম্যাচে তাঁর দলের সেরা
বোলার। অধিনায়ক মাশরাফি ১৮ রানে নেন ২ উইকেট। এ জয়ে ১০ ম্যাচে ১৪
পয়েন্ট নিয়ে কোয়ালিফায়ারে খেলা নিশ্চিত করল ঢাকা। টেবিলের দুইয়ে রয়েছে
দলটি। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ রংপুরের শীর্ষ চারে থাকার
সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল।
0 Comments